Home / লাইফস্টাইল / গোপন অঙ্গের যত্ন নেবেন কীভাবে?

গোপন অঙ্গের যত্ন নেবেন কীভাবে?

মেয়েরা চুলের যত্ন নেয়, ত্বক (skin) ভাল রাখতে রূপচর্চা করে, এমনকী স্লিম চেহারা ধরে রাখতেও চেষ্টার কসুর করে না। কিন্তু, কতজন যোনির যত্ন নেয়? যোনি নারীদেহের এমন একটি অংশ, যা ভাল রাখলে শরীরও ভাল থাকে। নইলে সংক্রমণের জেরে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। যোনির যত্ন নিয়ে তাই রইল কিছু ঘরোয়াটিপস।গোপন অঙ্গের যত্ন

গোপন অঙ্গের যত্ন নেবেন কীভাবে?

১. পরিষ্কার রাখুন : প্রতিদিন স্নান করার সময় ভাল করে যোনি (vagina) ধুয়ে নিন। পরিষ্কার জল ব্যবহার করবেন। চাইলে ভি-ওয়াশ জাতীয় লোশন ব্যবহার করতে পারেন। যোনি ধোওয়ার পর নরম তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে মুছে নেবেন। খসখসে কাপড় ব্যবহার করবেন না।

২. সুতির অন্তর্বাস পরুন: আমাদের মতো গরমের দেশে যোনি খুব ঘামে। ঘাম জমে ব্যাকটেরিয়ার (Bacteria) জন্ম হয় এবং যোনিতে সংক্রমণ হওয়ার ভয় থাকে। এই সমস্যা এড়াতে সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করতে পারেন।

৩. ডিও ব্যবহার করবেন না : যোনির স্বাভাবিক একটা গন্ধ আছে। এই গন্ধ ঢাকতে ডিও বা বডি স্প্রে (Body spray) ব্যবহার করবেন না। এর ফলে যোনির ত্বক লাল হয়ে ফুলে উঠতে পারে এবং চুলকুনি হতে পারে।

৪. ভাল খান : আপেল, অ্যামন্ড, অ্যাভোকাডো (Avocado), দই ইত্যাদি খেলে যোনিতে সংক্রমণ কম হয়। পাশাপাশি, সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খান। ভাজাভুজি, বাইরের মশলাদার খাবার, জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন।

৫. ডিসচার্জের দিকে খেয়াল রাখুন : যোনি থেকে সাদা জলের মতো বা হালকা হলুদ রঙের ডিসচার্জ হওয়া স্বাভাবিক। যোনির ভিতর জমে থাকা জীবাণু (Germs) এই উপায়ে শরীর বাইরে বের করে দেয়। কিন্তু, যদি অন্য রঙের ডিসচার্জ হয়, যদি তা ঘন আঠার মতো চটচটে হয়, সঙ্গে তীব্র দুর্গন্ধ থাকে কিংবা যন্ত্রণা হয়, তা হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখান।

৬. কন্ডোম ব্যবহার করুন : সেক্সের সময় আপনার পুরুষ সঙ্গীকে বলুন কন্ডোম (Condom) ব্যবহার করতে। কন্ডোম অবাঞ্ছিত গর্ভধারণই যে শুধু ঠেকায় তা নয়, বিভিন্ন যৌনরোগও প্রতিরোধ করে। যৌনরোগ থেকে যোনি সুরক্ষিত রাখতে কন্ডোমের জুড়ি নেই

৭. সেক্সের পর যোনি পরিষ্কার করুন : যদি আপনার পুরুষসঙ্গী কন্ডোম ব্যবহার করতে না চায়, তা হলে সেক্সের পর অবশ্যই যোনি পরিষ্কার করে নেবেন। এর ফলে যোনির ভিতরে জমে থাকা বীর্য (sperm) বেরিয়ে যাবে এবং ব্যাকটেরিয়া জমে সংক্রমণের ভয় থাকবে না।

৮. প্যাড বদলান : মাসিকের সময় দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার প্যাড বদলান। ভাবছেন, একটা প্যাড যতক্ষণ না ভিজে চুপচুপে হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ কেন বদলাব? কিন্তু, মাসিকের সময় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ভয় বেশি থাকে। সারাদিন একটা প্যাড (Pad) পরে থাকলে ভিজে জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। তাই প্যাড বদল করা বাঞ্ছনীয়।

৯. ট্রিম বা শেভ করুন : যোনির কেশ বড় হয়ে গেলে ট্রিম করে ফেলুন বা শেভ (Shave) করুন। এর ফলে যোনি পরিষ্কার রাখতে সুবিধা হবে, সংক্রমণের আশঙ্কাও কমবে। কিন্তু, এখানে কোনও হেয়ার রিমুভিং ক্রিম ব্যবহার করবেন না।

১০. ডাক্তারের পরামর্শ নিন : অনেকদিন ধরে যোনিতে চুলকুনি বা ব্যথা হলে, ঘন আঠার মতো চটচটে ডিসচার্জ বেরোলে, কোনও স্ফীতি দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। লজ্জায় মুখ বন্ধ রাখলে আপনিই বিপদে পড়বেন।

Check Also

গোসল

শীতে প্রতিদিন গোসল করা ভালো নাকি খারাপ

অত্যধিক শীতে বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় কমবেশি সবাই গোসল (Bath) করতে ভয় পান! আসলে শীতে বেশিরভাগ ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *