লিঙ্গের স্বাভাবিক সাইজ কত ও ছেলেদের লিঙ্গের সঠিক সাইজ কত? বহু পুরুষেরই পুরুষাঙ্গের আকার নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ গবেষণার পর সহজেই নিজের পুরুষাঙ্গের আকারটি সঠিক কি না, তা মিলিয়ে নেওয়া যাবে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট।সম্প্রতি (Recently) এক গবেষণায় পুরুষাঙ্গের স্বাভাবিক আকার কতো, তা জানার জন্য অনুসন্ধান করা হয়।
লিঙ্গের স্বাভাবিক সাইজ কত ও ছেলেদের লিঙ্গের সঠিক সাইজ কত
এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৫ হাজার পুরুষকে।গবেষণাটি করেছে লন্ডনের কিংস কলেজ ও যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথকেয়ার সার্ভিসেস (এনএইচএস) ট্রাস্ট। এ গবেষণায় বহু পুরুষের পুরুষাঙ্গের আকার নিয়ে সংশয় (Doubt) দূর হবে বলে মনে করছেন তারা।
গবেষণায় জানা যায়, পুরুষাঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় গড়ে ৩.৬ ইঞ্চি আকারের থাকে।
তবে তা টানলে তা গড়ে ৫.২ ইঞ্চিতে দাঁড়ায়। এ ছাড়াও এর পরিধি হয় ৩.৭ ইঞ্চি। গবেষকরা জানিয়েছেন, উত্থিত হলে তার আকার পরিবর্তিত (Changed) হয়ে দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ৫.১ ইঞ্চি। সে সময় এর পরিধি দাঁড়ায় ৪.৫ ইঞ্চি।
গবেষণার জন্য বহু জাতি ও ভিন্ন বয়সের পুরুষের পুরুষাঙ্গের মাপ নেওয়া হয়। তারপর তাদের মাপের গড় হিসাবে এটি পাওয়া যায়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, অনেকেরই মনে পুরুষাঙ্গের সঠিক আকার নিয়ে সংশয় থাকে। এরপর থেকে তারা এজন্য চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার আগে নিজেরাই বিষয়টি মেপে নিতে পারবেন, যে তা স্বাভাবিক (Normal) কি না।
কনডম নির্মাতারাও এ গবেষণার ফলাফলে উপকৃত হবেন।
কারণ এ মাপটি পাওয়ার ফলে সঠিক মাপের কনডম নির্মাণ করা সহজ হবে তাদের জন্য।
গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ জার্নাল অফ ইউরোলজি ইন্টারন্যাশনালে।
১৯৯৬ সালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষাতে পাওয়া গেছে শিথিল পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ৩.৫ ইঞ্চি (৮.৯ সেমি) (কর্মীদের দ্বারা যখন পরিমাপ করা হয়)। বেশ কয়েকটি গবেষণার পর্যালোচনায় দেখা গেছে শিথিল পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ৯–১০ সেমি (৩.৫–৩.৯ ইঞ্চি) । শিথিল পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য উত্থিত পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যের সাথে সবসময় (Always) সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
২০১৫ সালে ১৫,৫২১ জন পুরুষের মধ্যে করা একটি সিস্টেমিক রিভিউ অনুযায়ী, যাদের স্বাস্থ্যপেশাদার দ্বারা পরিমাপ করা হয়েছিল তাদের মধ্যে উত্থিত পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ১১.১২ সেমি (৪.৩৮ ইঞ্চি) দীর্ঘ এবং গড় পরিধি ৯.৩৯ সেমি (৩.৭০ ইঞ্চি)।
মানব পুরুষাঙ্গের আকার উত্থিত বা শিথিল অবস্থায় দৈর্ঘ্যে এবং পরিধিতে অনেক পরিবর্তনশীল। পাশাপাশি কিছু কিছু নিয়ামক পুরুষাঙ্গের আকারের এই পরিবর্তনশীলতার উপর কিছুটা প্রভাব ফেলে; যেমনঃ উত্থানের মাত্রা, সময়ের তারতম্য, কক্ষের তাপমাত্রা, মানসিক উদ্বেগের পরিমাণ, খেলাধুলার পরিমাণ, যৌনসঙ্গমের হার। মানুষের পুরুষাঙ্গের আকার অন্য প্রাইমেটদের (উদাহরণ হিসেবে গরিলার কথা-ই ধরা যাক) তুলনায় সবচেয়ে মোটা, তা উভয়ের মধ্যে শুধু পুরুষাঙ্গের বিচারে হোক বা শরীরের আপেক্ষিক আকারের তুলনায় পুরুষাঙ্গের বিচারে হোক।
দেখা যায় যে, যে জরিপগুলো স্বাস্থ্যপেশাদার দ্বারা পরিমাপের মাধ্যমে করা হয়েছে তাতে পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্যের তুলনায় স্ব-পরিমাপের উপর ভিত্তি করে করা জরিপের পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ২০১৫ সালে ১৫,৫২১ জন পুরুষের মধ্যে করা একটি সিস্টেমিক রিভিউ অনুযায়ী, যাদের স্বাস্থ্যপেশাদার দ্বারা পরিমাপ করা হয়েছিল তাদের মধ্যে উত্থিত পুরুষাঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ১১.১২ সেমি (৪.৩৮ ইঞ্চি) দীর্ঘ এবং গড় পরিধি ৯.৩৯ সেমি (৩.৭০ ইঞ্চি)। [১] শিথিল পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য অনেকসময় উত্থিত (Raised) অবস্থায় পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য সম্পর্কে আংশিক ধারণা দেয়।
বেশিরভাগ (Mostly) মানুষের পুরুষাঙ্গের বৃদ্ধি শৈশব থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে। তাছাড়া বয়ঃসন্ধি শুরু হওয়ার প্রায় এক বছর পর্যন্ত এবং সর্বাধিক ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত পুরুষাঙ্গের বৃদ্ধি হতে পারে। [২]
গবেষণায় লিঙ্গের আকার এবং শরীরের অন্যান্য অংশের আকারের মধ্যে কোন উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। জিনগত (Genetic) ছাড়াও কিছু পরিবেশগত কারণ, যেমনঃ হরমোনের তারতম্য লিঙ্গের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করতে পারে। অন্য কোন অস্বাভাবিকতা ছাড়া, যদি একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষাঙ্গের উত্থিত অবস্থায় দৈর্ঘ্য ৬ সেমি (২.৪ ইঞ্চি) এর কম হয় তখন এটিকে চিকিৎসাবিদ্যার ভাষায় মাইক্রোপেনিস হিসাবে উল্লেখ করা হয়। যদিও মাইক্রোপেনিস আছে এরকম মানুষের সংখ্যা খুবই কম।
সাম্প্রতিককালে (Recently) চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কারনে কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে পুরুষাঙ্গের আকার বৃদ্ধির নানা প্রকার উপায় প্রচলিত হয়েছে।