Home / স্বাস্থ্য টিপস / চুলকানি দূর করার ৭টি প্রাকৃতিক উপায়

চুলকানি দূর করার ৭টি প্রাকৃতিক উপায়

চুলকানি দূর করার ৭টি প্রাকৃতিক উপায়। চুলকানির সমস্যা সবারই হতে পারে এবং এর কারণে ত্বকে ব়্যাশ, লালচে ভাব, ফুলে ওঠা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হতে পারে। আর, চুলকানি (Itching) একবার শুরু হলে মানুষকে অতিষ্ঠ করে তোলে। চুলকানির অ্যাটাক মাঝে মধ্যেই যত্রতত্র শুরু হয়ে যায় অনেকেরই। তাই এর থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে।চুলকানি

চুলকানি দূর করার ৭টি প্রাকৃতিক উপায়

আজ আমরা এই আর্টিকেলে এমন কয়েকটি উপায় (Way) বলব, যেগুলি প্রয়োগ করে আপনি এই বিরক্তিকর (Boring) সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

১.নারকেল তেল:
নারকেল তেলে এমন অনেক গুণ রয়েছে, যা আমাদের ত্বকের অনেক উপকার করে। চুলকানি দূর করতেও নারকেল তেলের ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, ত্বকে নারকেল তেল প্রয়োগ করলে ত্বকের আর্দ্রতা (Humidity) অনেকক্ষণ থাকে।

২.চন্দন কাঠের ব্যবহার:
চন্দন শরীর থেকে চুলকানির সমস্যা দূর করে এবং এটি ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারি। চুল-কানির জায়গায় চন্দনের পেস্ট লাগাতে পারেন।

৩.তুলসি:
চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে আপনি তুলসি (Basil) ব্যবহার করতে পারেন। কয়েকটি তুলসি পাতা পিষে নারকেল তেলে মিশিয়ে ত্বকে মালিশ করুন, এর ফলে আপনি চুল-কানি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই পদ্ধতিটি শরীর থেকে ফাঙ্গাল অপসারণে সহায়তা (Help) করতে পারে।

৪.বেকিং সোডা ও লেবু:
যদি আপনার চুল-কানির সমস্যা (Problem) থাকে, তবে স্নানের জন্য পরিষ্কার জল ব্যবহার করুন। এছাড়াও, জলে এক চামচ বেকিং সোডা এবং কয়েক চামচ লেবুর রস মেশাতে পারেন। এই ঘরোয়া প্রতিকারটি সপ্তাহে কমপক্ষে (At least) দুই থেকে তিন বার করুন।

৫.নিম:
নিম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি, তা আমরা জানি। চুল-কানি থেকে বাঁচতেও আপনি নিম ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতা পিষে আক্রান্ত স্থানে লাগান। চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক (Natural) উপায়।

৬.অ্যালোভেরা জেল:
অ্যালোভেরার ওষধি গুণাগুণ (Quality) সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। এটি ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারি, পাশাপাশি অ্যালার্জি (Allergy) থেকেও মুক্তি দিতে পারে। অ্যালোভেরা ত্বকের জ্বালা এবং চুলকানি কমায়। এর জন্য আপনি কিছুটা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে ত্বকে লাগান। আধ ঘণ্টা এটি ত্বকেই রেখে দিন, দেখবেন চুল-কানি এবং জ্বালার সমস্যা কমবে!

৭.পুদিনা পাতা:
পুদিনা পাতারও আছে অ্যান্সথেটিক ও ইনফ্লেমেটরি উপাদান। চুল-কানির প্রতিসেধক (Antidote) হিসেবে তাই পুদিনা পাতাও অত্যন্ত উপকারী। এক মগ ফুটন্ত পানিতে এক আউন্স পুদিনা পাতা জ্বাল দিয়ে নির্যাস (Extract) তৈরি করে নিন। এরপর এই পানিটি চুলকানির স্থানে লাগিয়ে রাখুন। চুল-কানি কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।

Check Also

দাঁত ব্যথা

দাঁত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ ১০ টি উপায়

দাঁত ব্যথা বলে কয়ে আসে না। দাঁতের সমস্যার কোনো বয়স নেই। পাঁচ বছরের শিশু (Child) ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *