পায়খানা না হলে করণীয় ঘরোয়া ৭টি উপায়। আপনি কি জানতে চান পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় সম্পর্কে ? তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য।পায়খানা ক্লিয়ার না হওয়া অনেক যন্ত্রণাদায়ক এবং বিরক্তিকর (Boring) সমস্যা। দীর্ঘক্ষণ পায়খানায় বসে থাকার পরেও পেট ক্লিয়ার হয় না।কেমন যেন মনে হয় পায়খানা শেষ হয় নাই বরং আরো হবে। আবার অনেক সময় পায়-খানা মাত্রা অতিরিক্ত (Extra) শক্ত হয়ে যায়।ফলে পায়খানা করতে অনেক ব্যথা পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবে এ ধরনের সমস্যা আমাদের নিজেদের খাদ্যাভাস ও জীবন যাপনের কারণে হয়ে থাকে। তাই এ ধরনের সমস্যা খুব সহজে দূর করা সম্ভব।
পায়খানা না হলে করণীয় ঘরোয়া ৭টি উপায়
অতএব আমাদের উচিত সর্বপ্রথম পায়খানা ক্লিয়ার করার জন্য ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চেষ্টা করা । কেননা ওষুধের মধ্যে ক্ষতিকারক দিক রয়েছে।তাই আজ আমি পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় (Way) বলবো। আশা করি এই উপায় গুলো ফলো করলে ১০০% খুব সহজে আপনার পেট ক্লিয়ার হয়ে যাবে ।পাশাপাশি পায়খানা স্বাভাবিক হয়ে যাবে যদি আপনার পায়খানা শক্ত থাকে। এক্ষেত্রে আপনার শরীরের কোন ধরনের ক্ষতি হবে না। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায়:
উপায় বলার আগে আমাদের সর্বপ্রথম জানতে হবে কোষ্ঠকাঠিন্য কি ও পায়খানা ক্লিয়ার না হওয়ার কারণ। তাহলে সমস্যা (Problem) দূর করতে খুব সহজ হবে। চলুন আলোচনা শুরু করা।
পায়খানা ক্লিয়ার হয় না কেন ?
পায়খানা ক্লিয়ার না হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। নিচে প্রত্যেকটি কারণ উল্লেখ করা হলো :
১. পানি কম খাওয়ার খাওয়ার কারণে
পানির অনেক বৈশিষ্ট্য (Characteristics) রয়েছে। পানির অনেকগুলো বৈশিষ্ট্যের মধ্যে থেকে একটি বৈশিষ্ট্য হলো পানি খাবারের ফাইবারের সাথে মিলে পায়খানাকে নরম ও ভারী করে ফেলে।
এর কারণে পায়খানা চলাচল করতে অনেক সুবিধা হয় এবং খুব সহজেই বের হয়ে আসে। আর পানি কম পান করলে পায়-খানা শক্ত হয়ে যায় যার ফলে বের হতে চায় না এবং বের হলেও অনেক কষ্ট হয় ও পেট ক্লিয়ার হয় না।
২. আশযুক্ত খাবার কম খাওয়ার কারণে
অর্থাৎ আশযুক্ত খাবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পেট ক্লিয়ার হওয়ার জন্য । আঁশযুক্ত খাবার পেটকে পরিষ্কার (Clear) করে। অতএব যদি আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া হয় তাহলে পেট ক্লিয়ার হয় না।
৩. মানসিক যন্ত্রণা ও চাপের কারণে
মানসিক যন্ত্রণা ও চাপ অনেক মারাত্মক (Deadly) জিনিস। কেননা মানসিক চাপ দেহের স্বাভাবিক গতিবিদকে ওলট-পালট করে ফেলে। অতএব এক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ তৈরি হতে পারে।
৪. পরিশ্রম না করার কারণে
অর্থাৎ পরিশ্রম (Hard work) করলে শরীরের ব্যায়াম হয় এবং পেটের ব্যায়াম হয়। এর ফলে পেটের নাড়ি ভুঁড়ি সচল থাকে। অতএব যদি পরিশ্রম না করে শুধু শুয়ে বসে থাকা হয় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ তৈরি হতে পারে।
৫. পায়খানার বেগ আসলে আটকে রাখা
অর্থাৎ পায়-খানার বেগ আসার পর টা আটকে রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ তৈরি হতে পারে। কেননা পায়-খানা আটকে রাখলে শরীরের পানিগুলো শোষণ করতে থাকে। এর ফলে পায়-খানা আগের থেকে আরো বেশি শক্ত হয়ে যায়।
৬. তেল জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়া
অর্থাৎ ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ তৈরি হতে পারে । কেননা ফাস্টফুড (Fast food) জাতীয় খাবার বা তেল জাতীয় খাবার আমাদের দেহের জন্য এবং পেটের জন্য অনেক ক্ষতিকারক।
৭. ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়ার কারণে
আমরা জানি ওষুধের বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (Response) রয়েছে। তাই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ তৈরি হতে পারে। যেমন : নিয়মিত ব্যথার ওষুধ খেলে , ক্যালসিয়ামের ওষুধ খেলে আইরন জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ার কারণে।