Home / স্বাস্থ্য টিপস / শসা খাওয়ার ৭টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

শসা খাওয়ার ৭টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় শসা (Cucumber) একটি পরিচিত নাম। কারণ বেশিরভাগ সালাদেই ব্যবহার করা হয় এই সবজি। হাইড্রেটিং সবজিগুলোর মধ্যে উপরের দিকেই থাকে শসার নাম। এতে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে সহায়ক এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলোকে দূর করে।শসা

শসা খাওয়ার ৭টি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

যেহেতু খাবারের তালিকায় শসা যোগ করা খুব সহজ, তাই সারাবছরই এটি আপনি খেতে পারেন। ওজন (Weight) কমানো, হৃদপিণ্ডের ভালো রাখা, ব্যথায় প্রশান্তি দেওয়া ইত্যাদি হলো শসার উপকারিতা। শসা খাওয়ার আরও অনেক দুর্দান্ত উপকারিতা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১। শরীর হাইড্রেটেড রাখে
হাইড্রেশন (Hydration) শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন বজায় রাখার চাবিকাঠি। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি এবং অন্যান্য তরল খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে শসা আপনার হাইড্রেশনের চাহিদা পূরণ করতে পারে। শসাতে ৯৬% পর্যন্ত পানি থাকে, যা আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে পারে। ফল এবং শাকসবজির মাধ্যমে পর্যাপ্ত পানি শরীরে পৌঁছালে কোষগুলো সঠিক পুষ্টি (Nutrition) পায়, আপনি ক্লান্তির সঙ্গে লড়াই করতে পারেন এবং সারাদিন শক্তি বজায় থাকে। শসা একটি ভালো নাস্তাও হতে পারে।

২। ওজন কমাতে সাহায্য করে
সহজে ওজন (Weight) কমানোর জন্য সেরা একটি খাবার হলো শসা। যখন কেউ ওজন কমাতে চান তখন বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরাই শসা খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি যে কেবল হজমে সহায়ক তা নয়, সেইসঙ্গে ফাইবার এবং পর্যাপ্ত পানি থাকে এই সবজিতে। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকায় ওজন কমানো বেশ সহজ হয়। শসায় এক্সট্রা ফ্যাট-প্রোটিন (২ গ্রাম), কার্বোহাইড্রেট (২ গ্রাম), ভিটামিন কে (৬২% আরডিআই), ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম (Potassium) রয়েছে। শুধু তাই নয়, এতে কোনো ফ্যাট নেই। নিয়মিত শসা খেলে তা চর্বি ঝরাতে কাজ করে।

৩। জয়েন্টের ব্যথার উপশম করে
আপনি যদি মাঝেমধ্যেই জয়েন্ট এবং পেশীর ব্যথায় ভোগেন তবে আপনার ডায়েটে প্রচুর শসা এবং অন্যান্য সবুজ সালাদ যোগ করুন। শসা কেবল ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, এটি হাড় ও পেশীকেও শক্তিশালী করে। এটি ব্যথার ক্ষেত্রে একটি ভালো নিরাময় এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা এবং আর্থ্রাইটিস থেকে মুক্তির জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার হলো শসা। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে, শসার কুলিং ইফেক্ট শরীরের প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সেইসঙ্গে তৈরি করে ভালো এনজাইম, যা ব্যথা উপশম করে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত শসা খেতে শুরু করুন।

৪। মাড়ির জন্য ভালো
সুস্বাস্থ্যের জন্য দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখা গুরুত্বপূর্ণ। শসা আমাদের মুখের অ্যাসিডের ভারসাম্য ও পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে কাঁটাছেঁড়া এবং ক্ষত প্রতিরোধ ও নিরাময় করা সহজ হয়। নিয়মিত শসা খাওয়া মাড়ির রোগ এবং দাঁতের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। সেইসঙ্গে এটি দাঁতের প্লাক এবং টক্সিন (Toxin) তৈরি করে পরিষ্কার করে।

৫। টিস্যু তৈরি এবং রক্ত ​​প্রবাহ
শসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা আপনার শরীরের জন্য খুব ভালো এবং গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারিতাকে উপকৃত করে। শসায় উপস্থিত উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant) রক্ত ​​​​প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ, ফ্রি র‌্যাডিকেলের সঙ্গে মোকাবিলা এবং শরীরে টিস্যু বৃদ্ধিতে সহায়তা কররে। বুঝতেই পারছেন এটি কতটা উপকারী! এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।

৬। টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে
নিয়মিত শসা খেলে তা আপনার মলত্যাগের রুটিন সহজ করে দেবে। এটি শরীরের জন্য খারাপ জীবাণু এবং বিষাক্ত পদার্থগুলোকে বের করে দেওয়া সহজ করে। ফলে হজম সহজ ও স্বাস্থ্যকর হয়। এটি শরীরের পানিশূন্যতা (Dehydration) দূর করার পাশাপাশি দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যও। এতে থাকা প্রচুর ফাইবার আপনার মলত্যাগের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াতে পারে, পাশাপাশি অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ারও বৃদ্ধি করতে পারে। এই সবজির ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মাত্রা পানি ধরে রাখে। সেইসঙ্গে অন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যাও দূর করে।

৭। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
নিয়মিত শসা খাওয়ার আরেকটি কারণ হলো এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর মাত্রার পেকটিন, যা এক ধরনের প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া দ্রবণীয় ফাইবার। এটি রক্তের কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, টক্সিন দূর করে।

সুস্থ থাকুন, নিজেকে এবং পরিবারকে ভালোবাসুন। আমাদের লেখা আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং আপনার যদি কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থেকে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আর আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে শেয়ার করুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

Check Also

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে যেসব খাবার

প্রকৃতিতে শীতে আসি আসি করছে। এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা ...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *